অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের প্রথম সিরাজগঞ্জে পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের জন্য নির্মিত আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) জানায়, প্রায় ১৩ দশমিক ৫৬ একর জায়গায় নির্মিত এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। উদ্বোধনের পর প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক ইজারার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় দেখা গেছে, সাব-স্টেশনসহ (বিশ্রামাগার) ভবন ও পার্কিংয়ের রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ। ইতোমধ্যেই রাস্তায় আলোকসজ্জার লাইট লাগানো হয়েছে। ১০০ চালকের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত দ্বিতল বিশ্রামাগারে বিনোদন পয়েন্ট, ক্যান্টিন, গোসলখানা, নামাজের জায়গা, ঘুমানো ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কক্ষ রয়েছে। এছাড়া ১০০ পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংয়ের স্থান, ড্রেনসহ রয়েছে যানবাহনের ত্রুটি মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ।
পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা অল্প খরচে এসব আধুনিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার জানান, প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বিশ্রামাগার নির্মাণে উত্তরবঙ্গের পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের ভ্রমণ জনিত ক্লান্তি দূর, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে।
কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, করোনার কারণে কয়েক মাস প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। তাই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে সওজ। কাজ শেষ পর্যায়ে এখন সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।
ট্রাকচালক ফারুক আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগারটি নির্মিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। কেননা আমাদের বেশির ভাগ সময় মহাসড়কের পাশে গাড়ি থামিয়ে ঘুমাতে ও খেতে হয়। এ বিশ্রামাগার উদ্বোধন হলে আমাদের আর কষ্ট হবে না।
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক ও ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি ডাবলু বলেন, মহাসড়কে চলাচল করা পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের সুবিধার্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নামদার হোসেন বলেন, জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ট্রাকচালক ও চালকের সহকারী আছেন। সরকারের কাছে দাবি, তাদের আয়ের কথা বিবেচনা করে যেন বিশ্রামাগারের প্রবেশ ফি স্বল্প মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
Leave a Reply